সুইসাইড নোট লিখে ইবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্টনীতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র আতিকুর রহমান আতিক (২৫) আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড় এলকায় রোকেয়া ভিলা নামক ছাত্রাবাসে নিজ কক্ষে কিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আতিক কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার বেলদহ গ্রামের দেলওয়ার হোসেনের ছেলে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখে গেছেন তার তার সুইসাইড নোটিশে। এদিকে সহপাঠী ও প্রিয় ছাত্রের এমন মৃত্যুর বার্তায় শোকের ছায়া নেমেছে ইবি ক্যাম্পাসজুড়ে।
আতিক তার সুইসাইড নোটিশে লিখেছেন, ‘শুরুতেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ আমি যা করতে যাচ্ছি তা মহাপাপ। হে আল্লাহ তোমার করুণা ও দয়া দিয়ে আমাকে ক্ষমা করে দিও। আল্লাহ আমি আর সহ্য করতে পারছি না আমার অসুস্থতার যন্ত্রণা। আজ কতদিন ধরে ভূগছি। জানি না আরো কত দিন ভূগতে হবে। যদি এই ভাবে চলতে থাকে তাহলে আমি আমার পরিবার ও আমার স্বপ্ন পূরণ করবো কিভাবে।
আমার অনেক স্বপ্ন ছিলো একজন আদর্শ ম্যাজিস্টেট হওয়ার। জানি আমার ভিতর তুমি সে সামর্থ দিয়েছো। কিন্তু আমার অসুস্থতা দিন দিন হতাশ করে তুলেছে। আমি এখন আমার চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখি। আমার পরিবারকে নিঃস্ব করে যদি আমাকে বোঝা হয়ে থাকতে হয়, তাহলে আমি যে এত কষ্ট করে এতদূর পর্যন্ত আসলাম তার সফলতা কোথায়? আমি পাইনা একটু শান্তি,,,,,এভাবে ডায়েরীতে চার পৃষ্টা লিখেছে আতিক। বাকি তিন পৃষ্ঠা পুলিশ দেখতে দেয়নি তাদের তদন্ত সাপেক্ষে। তবে জানা যায় তার চিঠির শেষ বাক্যটি ছিল ‘আমার লাশটি বাড়ি পৌছিয়ে দিও।’
ঘটনা শোনার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান কুষ্টিয়া সদর পুলিশকে অবহিত করে এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
এব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি সাহাবুদ্দিন চৌধুরী জানান,‘ছাত্রাবাসের কাজের বিকেল আতিকের কক্ষে প্লেট আনতে গিয়ে লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার করে। পরে জানাজানি হলে আমরা ঘটাস্থলে গিয়ে তার লাশ নামাই। প্রাথমিক আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তদন্ত শেষে সঠিক কথাটি বলা যাবে।
No comments:
Post a Comment