বসন্তের পোশাক, বসন্তের সাজ
আর ক'দিনের মধ্যেই আসছে পয়লা ফাল্গুন এরপর ভ্যালেন্টাইনস ডে। এসময়ে তরুণ-তরুণী ও যুবারা বিশেষ দিনকে সামনে রেখে নিজেদের সাজিয়ে নিতে চান। বসন্তকালে ভালোবাসা দিবস পড়ায় বাংলাদেশের তরুণদের বড় একটা অংশ বাসন্তী রঙে নিজেদের সাজাতে ভালোবাসেন।
উৎসবের রঙ হিসেবে হলুদ, কমলা, লাল বা সাদা রঙ খুবই জনপ্রিয়। ফাল্গুন বা ১৪ ফেব্রুয়ারিও তার ব্যতিক্রম নয়। আজকাল যুবাদের পাশাপাশি শিশু ও বয়স্করাও উৎসবের রঙে রঙিন হতে চান। বিশেষ এসব দিনে মেয়েরা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ও ছেলেরা পাঞ্জাবী, ফতুয়া পরেন।
ছেলে-মেয়েদের পোশাকে রঙের সাথে ইদানিং যোগ হয়েছে নানা নতুনত্বের কারুকাজ। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ এবং শিশুদের পোশাকে এসেছে নানা ফ্লোরাল মোটিভ। সুতি, হাফ সিল্ক, লিলেন এবং তাঁতের কাপড়ের এসব পোশাকে করা হয়েছে ব্লক, অ্যাম্ব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক, হাতের কাজ এবং স্ক্রিন প্রিন্ট।
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস যেসব পোশাক এনেছে
কে ক্র্যাফট
নতুন নকশার শাড়ি, টপস, সালোয়ার-কামিজ, পুরুষের ফতুয়া, খাটো পাঞ্জাবি ও শিশুদের পোশাক পাওয়া যাবে। রং হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে বাসন্তী, বলুদ, কমলা ও সোনালি। সঙ্গে থাকছে মানানসই গয়না।
ফড়িং
লাল রঙের প্রাধান্যে যুগলদের জন্য নতুন পোশাক এনেছে ফড়িং। মেয়েদের জন্য আছে ফুলবাতা ফতুয়া, টপ, শার্ট ইত্যাদি। ছেলেদের জন্যও আছে ফতুয়া।
লাল সাদা নীল হলুদ
টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়িতে করা বয়েছে ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি ইত্যাদি কাজ। মেয়েদের ফতুয়া ও সালোয়ার-কামিজে করা হয়েছে এমব্রয়ডারি। ছেলেদের জন্য আছে তাঁত কাপড়ের পাঞ্জাবি।
আবর্তন
উজ্জ্বল রঙের ব্যববারে ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের পোশাক এনেছে আবর্তন। আছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ইত্যাদি।
নাগরদোলা
নাগরদোলা এনেছে ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি। পোশাকে গোলাপি, লাল, ম্যাজেন্টা, বাসন্তী রং ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলার মেলা
বাসন্তী, হলুদ, সবুজ, লাল ইত্যাদির সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে করা বয়েছে কালো, কমলা রং। ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট, কাঁথা ফোঁড় ইত্যাদি মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে। চুমকি ও কাঁচের কাজও থাকছে।
বিবিয়ানা
পোশাকে নানা কবিতার পংক্তি, গানের লাইন ব্যবহার করা হয়েছে। লাল, গেরুয়া, কমলা রঙের প্রাধান্য থাকছে।
No comments:
Post a Comment