শরীর ফিট রাখতে যে ৭টি ভুল করেন নারী/মেয়েরা
ফিট থাকা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু তার জন্য যে ডিসিপ্লিনড লাইফ মেনে চলতে হয় সেটার জন্যই অনেকে পিছিয়ে আসেন। আবার অনেকে তেড়েফুঁড়ে শুরু করেন ঠিকই, কিন্তু মাঝপথে সরে আসেন। আবার অনেক সময়েই এখান সেখান থেকে শুনে বা পড়ে নিজে নিজেই ডায়েট চার্ট তৈরি করে ফেলেন অনেকে। ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইট ঘেঁটে রিসার্চ করে মাথা গুলিয়ে যায় অনেকেরই। এক এক সাইটের এক এক রকম বক্তব্য থাকে, ফলে বিভ্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। বেশ কিছু নামী ফিটনেস এক্সপার্ট-এর সঙ্গে কথা বলে, এক তালিকা তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেখানে বলা হয়েছে, ফিট থাকার জন্য ভারতীয় মহিলারা কী কী ভুল করেন। এক ঝলকে দেখে নিন সেই সব ভুলগুলি:
১. শরীরের বিশেষ কোনও অংশের মেদ ঝরানোর প্রবণতাই বেশি থাকে ভারতীয় মহিলাদের। এবং সহজ উপায় হিসেবে ডায়েটিং শুরু করেন তাঁরা। এর ফলে নিউট্রিশন ও ক্যালোরি ডেফিশিয়েন্সির শিকার হন তাঁরা, বলেন রিবক মাস্টার ট্রেনার কোম্পাল গৌর।
২. শুধুমাত্র এক্সরসাইজ করলেন, অথচ খাওয়াদাওয়া অবহেলা করলেন— রোজ জিমে যাচ্ছেন, ঠিক মতো ওয়ার্কআউটও করছেন। তা সত্ত্বেও ওজন কমছে না। কারণ, আপনার খাওয়াদাওয়ায় পরিবর্তন ঘটেনি, বলেছেন নিউট্রিশনিস্ট নিধি মোহন কমল। এখনও তেল-মশলা, ফাস্টফুড— সবই স্থান পাচ্ছে খাওয়ার পাতে।
৩. কম খেয়ে রোগা হওয়ার প্রবণতা— খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলেই রোগা হওয়া যায়! এ তথ্য কিছুটা ঠিক হলেও, বিজ্ঞানসম্মত একেবারেই নয়। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উপরেই নিজের খাওয়াদাওয়া ঠিক করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। দিনের প্রধান মিলগুলি সারাদিনে ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নম্রতা পুরোহিত। ইনি পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ স্টট পাইলেটস ইনস্ট্রাক্টর।
৪. শরীরের গঠন বুঝে ওয়ার্কআউট করা উচিত বলে জানিয়েছেন নম্রতা পুরোহিত। । সকলে যা করছে, তা হয়তো আপনার শরীরের জন্য ঠিক নয়। তাই কসরত করার আগে, আবশ্যই কনসাল্ট করুন ফিটনেস ট্রেনারের সঙ্গে।
৫. ট্রেডমিলে হাঁটলেই ঝরবে মেদ— প্রথমদিকে এমনটা হলেও, মাসল-এ এর কোনও প্রভাব পড়ে না। যদিও, এ ধরনের কার্ডিও এক্সারসাইজ হার্টের পক্ষে খুবই ভাল। কিন্তু ওভারঅল বডি মুভমেন্ট শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন রিবকের অন্য এক ট্রেনার শিবা মেহরা।
৬. মহিলাদের ওয়েট ট্রেনিং না করাই ভাল— ওয়েট ট্রেনিং করলে হাড় সংক্রান্ত অসুখ, যেমন অস্টিওপোরোসিস, থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফিটনেস এক্সপার্ট শ্বেতাম্বরী শেঠির কথায়, ওয়েট ট্রেনিং করলে বোন-মাস বৃদ্ধি পায়। তা বলে, পুরুষদের মতো মাসল বানানোর চেষ্টা একেবারেই করা উচিত নয়।
৭. একই ধরনের ওয়ার্কআউট লাগাতার করে গেলে, একটা সময়ের পরে তার প্রভাব কমে আসে। তখন ওয়ার্কআউটের ধরন পাল্টে ফেলা উচিত বলে জানিয়েছেন নাইকি-র ট্রেনার শ্বেতা সুব্বাইয়া। অথবা, সেই ওয়ার্কআউট বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, ওয়ার্কআউট শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই ফল পাবেন বলে মনে করলে খুব মুশকিলে পড়বেন। একটু ধৈর্য রাখতে হবে। আপনার শরীর শেপ-এ আসা শুরু করবে মোটামুটি আড়াই-তিন মাস পর থেকে।
(www.blogkori.tk)
No comments:
Post a Comment