ভ্রমণ : মুসলিম পর্যটকদের জন্য 'হালাল পর্যটন' তাইওয়ানে
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (আইওসি) এর অন্তর্ভুক্ত নয় তাইওয়ান। এমন দেশগুলোর মধ্যে তাইওয়ান সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে যেখানে মুসলমান পর্যটকদের সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে 'হালাল পর্যটন' শিল্পের ধুন্দুমার বিকাশ ঘটছে দেশটিতে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে ১৬৮ মিলিয়ন মানুষ গোটা বিশ্বে ঘুরে বেড়াবেন। এর মধ্যে যারা মুসলমান তাদের বড় একটি অংশ তাইওয়ানমুখী হবে। এ সংখ্যা ১৬ মিলিয়ন ছাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পর্যটনশিল্পের বিকাশে তাইওয়ান বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর দিয়েছে। বিশেষ করে পর্যটকদের জন্য হালাল খাবার, নিয়ম-কানুন, মসজিদ আর প্রার্থনার জন্য যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। কাজেই যারা ধর্মীয় নিয়ম পুরোপুরি মেনে জীবন কাটাচ্ছেন, তাদের ভ্রমণের জন্য তাইওয়ান অতুলনীয় গন্তব্য হতে পারে।
যদিও দেশটির জনসংখ্যায় বোদ্ধ ধর্মের মানুষরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে প্রতিটি শহরেই রয়েছে মসজিদ। তাইপে, তাইচুং, তাইনাম বা কাওসিয়াং-এর মতো শহরগুলোতে অনেক মসজিদ আর হালাল খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
কুয়ালালামপুর ভিত্তিক তাইওয়ান ট্যুরিজম ব্যুরো (টিটিবি) এর পরিচালক টনি উ জানান, তাইওয়ানে এখন শতাধিক হালাল খাওয়ার স্থান রয়েছে। এ দেশ বছরে ১ লাখ মুসলমান পর্যটককে সাদরে গ্রহণ করতে সক্ষম।
তাইওয়ানের এই আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা কিন্তু গ্লোবাল তালিকায় উচ্চ রেটিং দখল করে নিয়েছে। 'দ্য ক্রিসেন্ট রেটিং সিস্টেম' সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের রেটিং নির্ধারণ করে। পর্যটনব্যবস্থা তাইওয়ান ইন্টেগ্রিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদও পেয়েছে। ইতিমধ্যে দেশটি 'ওয়ার্ল্ড হালাল ফুড কাউন্সিল' এ অন্তর্ভুক্তি পেয়েছে। সেই সঙ্গে তাইপের চাইনিজ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন হালাল খাবারের বিষয়টি নজরদারিতে রাখছে।
কাজেই ঘুরতে গিয়ে যারা হালাল খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন, তাদের জন্য তাইওয়ান হতে পারে দারুণ এক ঘোরাঘুরির স্থান।
সূত্র : এমিরেটস
সূত্র : এমিরেটস
No comments:
Post a Comment